৳ 1,600 – ৳ 3,000Price range: ৳ 1,600 through ৳ 3,000
বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি থেকে বেছে নিন
৩-৫ দিনের মধ্যে আপনার পণ্য পৌছে যাবে
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
প্রকৃতির এক অসাধারণ উপহার, করোসল ফল (Soursop), শুধু সুস্বাদু নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি বিস্ময়কর ফল, যা তার স্বতন্ত্র স্বাদ এবং অসাধারণ স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে। এই ফলটি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করে আপনি পেতে পারেন এক নতুন জীবনশক্তি ও তারুণ্যের ছোঁয়া। এর মিষ্টি-টক স্বাদ যেমন আপনাকে মুগ্ধ করবে, তেমনি এর প্রাকৃতিক উপকারিতা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: করোসল ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত সেবনে শরীরকে বিভিন্ন রোগ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, করোসল ফলের নির্যাস ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি দমনে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এটি কোনো রোগের চিকিৎসা নয়, তবে এটি একটি প্রাকৃতিক সহায়ক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন: এই ফল প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান হিসাবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন এবং বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, যা আপনার হজম প্রক্রিয়া এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য উপকারী।
ত্বকের স্বাস্থ্য ও তারুণ্য: উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং অকালে বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
সামগ্রিক স্বাস্থ্য কল্যাণ: করোসল ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হজমশক্তি বৃদ্ধি, প্রদাহ কমানো এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও অবদান রাখতে পারে। এটি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল যা আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
করোসল ফল কাঁচা খাওয়া যায় অথবা জুস, স্মুদি ও ডেজার্ট তৈরি করে উপভোগ করা যায়। ফলের নরম শাঁসটি বীজ বাদ দিয়ে সরাসরি সেবন করুন। এটি জ্যাম, জেলি বা আইসক্রিম তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন এক গ্লাস করোসল ফলের জুস আপনাকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
পাকা করোসল ফল ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে প্রায় ৫-৭ দিন পর্যন্ত তাজা থাকে। কাঁচা ফল ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ধীরে ধীরে পেকে যাবে। পাকার পর দ্রুত সেবন করা উত্তম। বীজ থেকে গাছ লাগিয়েও এই ফলের উৎপাদন করা যেতে পারে।
প্রশ্ন: করোসল ফল কি আসলেই ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে?
উত্তর: করোসল ফলের নির্যাস নিয়ে কিছু গবেষণায় ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে তার কার্যকারিতা দেখা গেছে। তবে এটি কোনো রোগের সরাসরি চিকিৎসা নয় এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় শুধুমাত্র করোসল ফলের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অংশ হিসেবে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন: করোসল ফলের স্বাদ কেমন?
উত্তর: করোসল ফলের স্বাদ মিষ্টি এবং টক এর একটি চমৎকার মিশ্রণ, যা আনারস, স্ট্রবেরি এবং সাইট্রাস ফলের মতো ফ্লেভারের সাথে তুলনীয়। এর একটি অনন্য সুগন্ধও রয়েছে যা একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
প্রশ্ন: গর্ভবতী মহিলা বা বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের জন্য করোসল ফল নিরাপদ?
উত্তর: সাধারণভাবে, করোসল ফল একটি প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান এবং পরিমিত পরিমাণে সেবন নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের যেকোনো নতুন খাবার বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ন্যাচারাল বাজার-এ আমরা বিশ্বাস করি প্রকৃতির অপার দানই সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আপনাদের হাতে ১০০% প্রাকৃতিক এবং ভেজালমুক্ত পণ্য পৌঁছে দেওয়া, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনকে করে তুলবে আরও স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত। প্রতিটি পণ্য যত্ন সহকারে নির্বাচিত, যা নিশ্চিত করে গুণমান এবং বিশুদ্ধতা। ন্যাচারাল বাজার মানেই প্রকৃতি থেকে সরাসরি আপনার ঘরে, বিশুদ্ধতার প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রাখুন।
@ ন্যাচারাল বাজার 2025
মোট 0 TK
ডেলিভারি চার্জ 0.00 TK
সর্বমোট 0 TK